কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বিএনপির কাছে মানুষের ভোটের চেয়ে বাংলার মানুষের লাশ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাছে বাংলাদেশের সংবিধানের চেয়ে বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাছে বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেয়ে মানিলন্ডারিং করে বিদেশে টাকা পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুলেট-গ্রেনেড মোকাবেলা করে লড়াই সংগ্রাম করেছেন কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। শেখ হাসিনা বাংলার মায়েদের জায়নামাজের প্রার্থনাতে রয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপুরের তানভীর হাসান সৈকতকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় সৈকতকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল মাহমুদ মান্না ও নজরুল ইসলাম ভুলু।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়ন।
ঢাকসুর সাবেক সদস্য ও জাতিসংঘের রিয়েল হিরো স্বীকৃতি পাওয়া তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমাকে ঢাবি ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়ে লক্ষ্মীপুরবাসীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার দিয়েছেন। আমরাও আগামী নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।