পটুয়াখালীর দুমকিতে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙ্গার খবরে মুক্তিযোদ্ধাদেরসহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পটুয়াখালীর দুমকিতে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙ্গার অভিযোগে শরিয়তুল্লাহ (২০) নামের এক দুর্বৃত্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে আটক যুবকের বিরুদ্ধে দুমকী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্সের জয়বাংলা চত্বরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের ওপরে উঠে মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতির উপরের ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় শব্দ শুনে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা কর্মী ও কোয়ার্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দৌড় পালানোর সময় এক যুবককে হাতে নাতে আটক করে। যুবকের গ্রামের বাড়ি উপজেলার দুমকি মাদ্রাসা ব্রিজ এলাকায়। তার পিতার নাম মিজানুর রহমান মৃধা। সে তবলিক জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী।
ইউএনও আল ইমরানের নির্দেশে ধৃত যুবককে ওই রাতেই দুমকি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বাদি হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আজ শনিবার কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙ্গার খবরে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হালিম ও দুমকী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গোলাম মর্তুজা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ খান, মুরাদিয়া ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার আ. রাজ্জাক প্যাদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাহাবুদ্দিনসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে জড়িত ও মদদাতাদের বিচার দাবি করেন।