লেখক সুফিয়া খাতুন আর নেই

আগের সংবাদ

শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে

পরের সংবাদ

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২০ বস্তায় ৪ কোটি টাকারও বেশি মিলল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ৫:০৮ অপরাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদেও দানবাক্সে ২০ বস্তায় ৪ কোটি টাকার বেশি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে রেডর্ক ২০ বস্তা টাকা। গণনা শেষে সবচেয়ে বেশি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। সকাল ৯টায় দানবাক্স খোলা হয়। চলছে গণনা।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদী তীরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে আটটি দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। এবার দানবাক্স খোলা হয়েছে ৩ মাস ৬ দিন পর।

এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ১৫ বস্তা টাকা। দিনভর গুণে পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। তখন ৩ মাস ১ দিনে এই টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের আটটি দানবাক্সে। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সকাল পৌনে ৯টায় ৮টি দানবাক্স খুলে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো লোহার সিন্ধুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মেঝেতে ঢালা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।
দানবাক্স খোলার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহাকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্তিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। এই কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়। এ ছাড়া এই মসজিদের জমানো টাকা দিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ এখানে সুন্দর একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে একশ কোটির বেশি টাকার প্রয়োজন হবে।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি গড়ে ওঠে। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন। মানুষ টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার দান করেন।