করোনা প্রভাবে সারা বিশ্বে ফেইক নিউজ বা ভুয়া সংবাদে সয়লাব হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগম মাধ্যম। গুজবও ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের উপর চাপ বাড়ছিল বিশ্বব্যাপি। এমন এক বাস্তবতায় ফ্যাক নিউজ ঠেকাতে ফ্যাক্ট চেকিং কর্মসূচি শুরু করে ফেসবুক। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নিউজকে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বুম ভুয়া নিউজ হিসেবে শনাক্ত করে নোটিফিকেশন পাঠিয়েছে। এতে দেশের বেশকিছু অনলাইন পোর্টালসহ প্রতিদিন প্রকাশিত কিছু দৈনিকের অনলাইন সংস্করণও আটকে যাচ্ছে ভুয়া নিউজের জালে।
শনিবার (২ মে) এমন একটি নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ভোরের কাগজ লাইভ “মসজিদে নববী খুলে দেয়া হচ্ছে” এমন শিরোনামের একটি সংবাদ সরিয়ে নেয়। সংবাদটি তৃতীয় একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রকাশ করা হয়েছিল। একই সংবাদটি প্রকাশ করেছিল বাংলানিউজ২৪, ঢাকা টাইমস, দৈনিক জনকণ্ঠ, বাংলাদেশ জার্নাল, বিবার্তাসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তবে এ খবরটিকে ফেইক নিউজ বলছে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বুম বাংলাদেশ। বুম প্রকাশিত সংবাদটির বিভিন্ন সূত্র যাচাই করে সেখানে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়।
পয়েন্টার ইনস্টিটিউটের নিরপেক্ষ অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বিওওএম (বুম)-এর সঙ্গে অংশীদার হয়ে ফেসবুক ফ্যাক্ট-চেকিং শুরু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। ফেসবুক বুমের সঙ্গে ভারত এবং মিয়ানমারের মতো অন্যান্য দেশেও কাজ শুরু করেছে।
তাছাড়া “মার্কিন গবেষণা বলছে করোনা প্রতিরোধে হিজাব সহায়ক” এমন একটি সংবাদকেও ফেইক সংবাদ হিসেবে শনাক্ত করেছে বুম বাংলাদেশ। সংবাদটি কালেরকণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ঢাকা টাইমস সহ বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এছাড়া করোনা নিয়ে এক নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর সংবাদ প্রকাশ করে যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বেশ কিছু অনলাইন।
এ ফ্যাক্ট চেকিং পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোরের কাগজ লাইভের ইনচার্জ নিয়ন মতিয়ুল। সামনে বিভিন্ন সূত্র থেকে সংবাদ নেয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন হতে এ প্রচেষ্টা কাজে লাগবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভোরের কাগজ লাইভ সব সময়ই তথ্যের উৎস সম্পর্কে বেশি সচেতন। তারপরও আন্তর্জাতিক সংবাদগুলোর উৎস সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।