যখন বাসায় বাচ্চারা ছোট্ট একটা জায়গায় খেলে তখন মাঝে মধ্যে মনে হয় অ্যামেরিকার কথা। আমি যে জায়গাগুলোতে গিয়েছিলাম সেখানে প্রায় প্রত্যেকটা বাসাতেই একটা ব্যাক-ইয়ার্ড আছে। সেখানে বাচ্চারা কী সুন্দর খেলে।
বেশ কয়েকদিন আগে বেড়িবাধের ওপারে কিছু নিম্ন-আয় এলাকাতে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। ঘরে ঘরে দেওয়ার সময় দরজাটা একটু ফাঁকা করে ঘরের ভেতরে উঁকি দিয়েছি। দেখতে চেয়েছি যাদের দিচ্ছি তাদের ঘরের অবস্থা কেমন।
ছোট্ট ঘর, তাতে তিনভাগ জুড়ে খাট।
বাকি একভাগে রান্নার চুলা, কুটোকুটি, থালাবাসন।
সেদিন আসর মাসজিদে পড়েছিলাম। পিপিই আর মাস্ক পরা অবস্থাতেই।
সলাতের পরে চারপাশের মানুষদের দেখে মনে হচ্ছিল ঢাকার গরীব মানুষদের অনেকে এ কারণে মাসজিদে আসে কারণ তাদের ঘরে সলাতের পরিবেশ নেই।
সেদিনের পর থেকে নিজের বাসাটাকে অনেক বড় মনে হয়। আল্লাহ আমাদের অনেক ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
স্বপ্নে দেখছি মাসজিদে গেছি। জামাতে সলাত পড়ছি।
ছবিটা সৈকত মজুমদারের তোলা। একজন রিকশাওয়ালা সিটের ওপর সলাত পড়ছে। আগে হয়ত সে মাসজিদে যেত।
সারা দুনিয়াটা আমার সিজদার জায়গা, কিন্তু যার হাতে আমার জান তার কসম মাসজিদের কথা চিন্তা করলে চোখে পানি আসে।
রব্ব, আবার আপনার ঘরের দরজা আমাদের জন্য খুলে দেন। মাসজিদে গিয়ে নিষ্ঠার সাথে আপনার ইবাদাত করার তাওফিক দেন।
মালিক, আমাদের ক্ষুধার্তদের খাবার দিন। আর আপনার অদেখা এই সৃষ্টির অনিষ্টের ভয় থেকে নিরাপত্তা দিন।
– শরীফ আবু হায়াত অপু