তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে বেশ চটে আছে চীন। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপাঞ্চলটির সীমানায় এরই মধ্যে চীনা যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং। ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছিল চীন।
শুক্রবার চীনের হুশিয়ারি সম্পর্কে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে তাইওয়ান। কোনো চাপ প্রয়োগ করেই সেই কাজ থেকে তার অঞ্চলকে বিরত রাখা যাবে না।
তাইপেতে ফিরে সাই বলেন, ‘আমরা কী ধরনের চাপ ও হুমকির মধ্যে আছি বিশ্ব সম্প্রদায়কে তা দেখিয়েছি। তবে এতে তাইওয়ান আরও একতাবদ্ধ হবে, কোনোভাবেই ভেঙে যাবে না। কোনো বাধাই আমাদের বিশ্ব যোগাযোগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না।’
আর চীনের তাইওয়ানবিষয়ক কার্যালয় বলছে, ‘কথিত ট্রানজিট ছিল একটা অজুহাত মাত্র। আসলে এটা একটা উসকানি। তারা স্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।’
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকওয়ার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি চীন। আমেরিকার মহাদেশের কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রানজিট নিয়েছিলেন সাই ইং-ওয়েন। কৌশলে সেই ট্রানজিটের আড়ালেই ম্যাকওয়ার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।