কালাপানির দ্বীপখ্যাত বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একুশটি দ্বীপের নামকরণ করা হবে পরমবীর চক্রপ্রাপ্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২১ জন সৈন্যের নামানুসারে। আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সোমবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে পরাক্রম দিবস উপলক্ষে দেশের জন্য অবদান রাখা ভারতের বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টার সময় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১টি বৃহত্তম অনামী দ্বীপের নামকরণ করবেন নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলাকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপে নির্মিত ও নেতাজিকে উৎসর্গ করা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মডেলও উন্মোচন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কথা মাথায় রেখে নেতা সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২০১৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই দ্বীপ সফর করেন। তখন দ্বীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ নাম রাখেন। সেই সময়ই নীল দ্বীপ ও হ্যাভলক দ্বীপটির নতুন নামকরণ করা হয় শহিদ দ্বীপ আর স্বরাজ দ্বীপ নামে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান হলো পরমবীর চক্র। যুদ্ধক্ষেত্রে স্থলে, জলে বা আকাশে সর্বোচ্চ সাহস, বীরত্ব ও আত্মাহুতির জন্য পরমবীর চক্র দেওয়া হয়ে থাকে। স্বাধীনতার পরে ভারতে এ যাবত মোট ২১ জন বীর সেনা এই বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
মেজর সোমনাথ শর্মা, নায়েক যুদনাথ সিং (মরনোত্তর), সেকেন্ড লেফটেনেন্ট রাম রাঘোব রানে, কোম্পানি হাবিলদার মেজর পীরু সিং শেখাওয়াত (মরনোত্তর), ল্যান্স নায়েক করম সিং, ক্যাপ্টেন গুরবচন সিং সালারিয়া (মরনোত্তর), মেজর ধন সিং থাপা, সুবেদার যোগিন্দর সিং (মরনোওর), মেজর শয়তান সিং (মরনোত্তর), কোম্পানি কোয়ার্টর মাস্টার হাবিলদার আব্দুল হামিদ (মরনোত্তর), লেফট্যানেন্ট কর্নেল আর্দেশির বুরজোরজি তারাপোর (মরনোত্তর), ল্যান্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কার (মরনোত্তর) মতো অসংখ্য বীর সৈন্যরা দেশের জন্য অসম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে ও আত্মত্যাগ করে এই পদক পেয়েছেন।
এবার এই বীর সেনাদের নামেই উৎসর্গ করা হবে আন্দামানের ২১টি অনামী দ্বীপ।