পটুয়াখালী গাজী মুনিবুর রহমান নার্সিং কলেজে খাদ্য ও পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত

আগের সংবাদ

৮২ হাজার কর্মী নেবে ইতালি

পরের সংবাদ

চীন-জার্মানির পর এবার হাইড্রোজেন ট্রেন চলবে ভারতে

ঢাকা স্কাইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১:০০ অপরাহ্ণ

বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল দেশ চীন হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে। দেশটির ‘সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেড’ সম্প্রতি ‘হাইড্রোজেন আরবান ট্রেন’ চালু করে যা এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে দ্বিতীয়। এর আগে জার্মানিতে প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ‘গ্রিন ট্রেন’ চালু করা হয়।

ভারতেও খুব শিগগিরই এই ‘গ্রিন ট্রেন’ চালু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির রেল মন্ত্রণালয়। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
চীনের হাইড্রোজেন ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলেও ছুটে যেতে পারে ৬০০ কিমি।

জার্মানির ট্রেন নির্মাণকারী সংস্থা ‘অ্যালস্টম’-এর দাবি, সেই দেশের গ্রিন ট্রেন ‘করাডিয়া ইলিন্ট’ জ্বালানি ছাড়াই ছুটে যেতে পারে ১১৭৫ কিলোমিটার। ভারতীয় রেলও ‘গ্রিন ট্রেন’ চালু করার দিকে এগোচ্ছে। দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ভারতে প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর মতে, ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের মতো ভারতীয় রেল নতুন পরিবেশবান্ধব এবং গতিযুক্ত রেলের উপর কাজ করছে। ইঞ্জিনিয়াররাও রেলের নতুন নতুন নকশা তৈরি করছেন।

অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, “ভারতে তৈরি ‘বিশ্বের সবুজতম (গ্রিন) ট্রেন’-এর নকশা তৈরির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই চলছে। আমরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করতে পারব বলে আশা করছি।”

চীনের হাইড্রোজেন ট্রেনটি ‘ফাক্সিং হাই-স্পিড প্ল্যাটফর্ম’ প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। ‘সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেড’ ২০২১ সালে প্রথম এই ধরনের ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল। তারও আগে ২০১০-এর মাঝামাঝি কয়েকটি হাইড্রোজেন চালিত ট্রাম তৈরি করা হয়েছিল।

চীনের এই ট্রেনে থাকবে অত্যাধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি। প্রতিটি কামরায় ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা থাকবে। মনে করা হচ্ছে এই ট্রেনের ব্যবহারে প্রতি বছর কার্বন নির্গমনের পরিমাণ ১০ টন পর্যন্ত কমবে।

বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চালু হয় জার্মানিতে। জার্মান সরকার জানিয়েছে, ১৫টি ডিজেল ট্রেন সরিয়ে ১৫টি নতুন হাইড্রোজেন ট্রেন চালু হয়েছে সেদেশে। হাইড্রোজেনকে পরিবহণ শিল্পে জীবাশ্ম জ্বালানির একটি শক্তিশালী প্রতিস্থাপন হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাড়িতে ব্যবহারের জন্য ছোট আকারের জ্বালানি কোষও তৈরি করা হচ্ছে।

নতুন এই হাইড্রোজেন প্রযুক্তি পণ্য হিসেবে বিক্রি করা নিয়ে চিন্তাভাবনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রযুক্তিকে পাকাপাকিভাবে বাজারে আনতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনগুলোতে দূষণের মাত্রা অত্যন্ত কম হওয়ার কারণেই ট্রেনগুলোকে ‘গ্রিন ট্রেন’ বা ‘সবুজ ট্রেন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে কম দূষণ যুক্ত ট্রেনগুলো ভারতেই তৈরি হতে চলেছে বলে দেশটির রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানিয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম। সূত্র : জিনিউজ, ইন্ডিয়া ডটকম