আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার বিষয়ে টেলিফোনে তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার মার্কিন সমকক্ষ লয়েড অস্টিন।
তুরস্কের আনাতোলি বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়ে বলেছে, টেলিফোনালাপে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাবুলের ‘হামিদ কারজাই’ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে গোটা বিশ্বের সঙ্গে আফগানিস্তানের যোগাযোগের ‘একমাত্র জানালা’ বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, আফগানিস্তানের শান্তি, নিরাপত্তা ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য এই বিমানবন্দরের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার লক্ষ্যে ওই বন্দরে তুর্কি সেনা মোতায়েন থাকবে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এ বক্তব্য দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে কাবুল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
আফগান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মোহাম্মাদ আমিরি বলেছেন, আফগান সরকার কাবুলসহ দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কাজেই এর নিরাপত্তা রক্ষায় বিদেশি সেনা উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।
এরদোগানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তালেবান বলেছে, আফগানিস্তানে ‘দখলদারিত্ব’ অব্যাহত রাখা এবং ‘আফগান জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা’য় হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে একতরফাভাবে কাবুলে তুর্কি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তালেবান আরো বলেছে, গত ২০ বছর ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর ছত্রছায়ায় আফগানিস্তানে তুর্কি সেনা মোতায়েন ছিল এবং এখন তাদেরকে এদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে ২০০১ সালের শেষদিকে দেশটি দখল করে নেয় আমেরিকা। কিন্তু গত ২০ বছরে ঘোষিত একটি লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি বরং উল্টো আফগানিস্তানে নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের কারবার বেড়ে গেছে।
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানে নিজের সামরিক উপস্থিতির ব্যর্থতা মেনে নিয়ে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সূত্র : পার্সটুডে