মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরোক্ষভাবে আফগান যুদ্ধে তার দেশের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বলেছেন, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশটি থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মূল সময়সীমা ছিল ১১ সেপ্টেম্বর।
তিনি বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করে রাখার অর্থ হবে আরো বেশি প্রাণহানি। বাইডেন স্পষ্ট করে বলেন, “[এতদিন যা কিছু হয়েছে তা থেকে] ভিন্ন কোনো ফলাফল আসার যুক্তিপূর্ণ কারণ পাওয়া না গেলে আমি আর কোনো মার্কিন সেনাকে আফগানিস্তানে পাঠাব না।”
বাইডেন ‘ভিন্ন কোনো ফলাফল’ পরিভাষা ব্যবহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে একথার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের মার্কিন সেনা উপস্থিতির ফলাফল শূন্য। মার্কিন বাহিনী ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো আফগান যুদ্ধেও পরাজিত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, এরইমধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে ৯০% সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে।
গত সপ্তাহে আফগান কর্তৃপক্ষকে কোনো রকম তথ্য না দিয়ে মধ্যরাতে আফগানিস্তানের প্রধান সামরিক ঘাঁটি বাগরাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় আমেরিকা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, “একটি একক আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে গোটা দেশ পরিচালিত হবে এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।” একইসঙ্গে তিনি একথাও বলেন, “গোটা দেশ তালেবান দখল করে নিয়ে আগের মতো এককভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে- সে আশঙ্কাও নেই বললেই চলে।”
বাইডেন বলেন, এখন আফগান জনগণই ঠিক করবে কোন সরকারের মাধ্যমে তাদের দেশ পরিচালিত হবে। বাইরে থেকে বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন জেলায় তালেবান ব্যাপকভাবে হামলা শুরু করেছে। তারা দেশটির শতাধিক জেলা দখল করে নেয়ার দাবি করেছে। সূত্র : পার্সটুডে