মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের চলমান সংলাপ ফলপ্রসূ হলে দেশটির ওপর থেকে সতর্কতার সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা তুলবে ওয়াশিংটন। তিনি বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা ও পরমাণু সমঝোতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন।
ইয়েলেন আরো বলেন, ইরান পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়ন শুরু করলে দেশটির ওপর থেকে কোন কোন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা সমীচীন হবে সে সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনই গ্রহণ করবে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুখে যাই বলুন ইরানের ওপর থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে ভিন্ন চিন্তা রয়েছে ওয়াশিংটনের।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায় সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বর্তমানে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে।
‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর এক বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কিন্তু অন্য পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশকিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তিনি ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ইরান বলেছে, আমেরিকা আগে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে তাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এতে ফিরে আসতে হবে। ইরান ও আমেরিকার মধ্যকার মতপার্থক্যের এই জায়গাটি নিয়ে মূলত ভিয়েনায় ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। সূত্র : পার্সটুডে