১৯৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামি বিপ্লব প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য কেন্দ্রিক দুই মেরুর বিশ্বব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে এবং মুসলিম বিশ্বকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বিপ্লব বিজয়ের ৪২তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের ফলে তৎকালীন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য কেন্দ্রিক যে দুই মেরুর বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল তা প্রচণ্ডভাব ঝাঁকুনি খায়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা পরিষ্কার হয় এবং এক দশকের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিজমের পতন ঘটে। একই পরিণতি ঘটবে মার্কিন কথিত উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থারও।
ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর থেকে বর্তমান সময়কার নানা সাফল্য তুলে ধরে আইআরজিসি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, ব্যাপকভিত্তিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অবরোধ, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এবং গণমাধ্যমের অপপ্রচার ও নানা ষড়যন্ত্র এবং হুমকির পরও ইরান নানামুখী সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আইআরজিসি তাদের বিবৃতিতে আরো বলেছে, গত ৪২ বছর ধরে ইরানের জনগণ এবং ইসলামি বিপ্লবের বিরুদ্ধে আমেরিকা নানা ধরনের শয়তানি ষড়যন্ত্র করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। ইরানের জনগণ ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের ৪২তম বার্ষিকী উদযাপন করছে কিন্তু এর মাঝে আমেরিকার সাতজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন যাদের সবার লক্ষ্য ছিল ইরানের ইসলামি বিপ্লব ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে ধ্বংস করা কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টা নিদারুনভাবে হয়েছে।
আইআরজিসি বলেছে, ইরানি জনগণের ঐক্য এবং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ সমস্ত সমস্যা মোকাবেলা করতে ইসলামী বিপ্লবকে সহযোগিতা করেছে এবং ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা ও কথিত সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে