সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া সরকার যে দুটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছে তার ৬১ জন ক্রু’র মধ্যে ২৫ জন চীনা নাগরিক রয়েছেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চীন সরকার বলেছে, ২৫ নাগরিকের ব্যাপারে তারা তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গতকাল (বুধবার) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, তেলবাহী জাহাজ এবং চীনা নাগরিক আটকের ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীনা নাগরিকদের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃত অবস্থা জানার চেষ্টা করছে বেইজিং। চীনা ক্রুদের ব্যাপারে স্বচ্ছতার সাথে আইন অনুসারে তদন্ত করার আহ্বান জানান ঝাউ লিজিয়ান।
গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার সরকার জানিয়েছে যে, তারা ইরান এবং পানামার দুটি তেল ট্যাংকার আটক করেছে। জাহাজ দুটি ইন্দোনেশিয়ার পানিসীমা ব্যবহার করে বেআইনিভাবে তেল স্থানান্তর করছিল।
আটক দুটি জাহাজের মধ্যে একটি হচ্ছে এমটিহর্স যা ইরানের জাতীয় তেল ট্যাংকার কোম্পানির মাধ্যমিক পরিচালিত হয় এবং অন্যটি এমটি ফ্রেইয়া যা শাংহাই ফিউচার শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এমটি হর্স থেকে তেল নেয়ার সময় এমটি ফ্রেইয়া সাগরে তেল ছড়িয়ে ফেলে এবং এ কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ইরান বলেছে, টেকনিক্যাল ইস্যুতে ইরানি জাহাজ আটক করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরান ও চীনের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগ শুরু করেছে। তদন্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র : পার্সটুডে