তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া মাধ্যমে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে: চীন

আগের সংবাদ

কাশ্মীরের কুলগামে টহলদারি বাহিনীর উপরে গ্রেনেড হামলায় ১ সেনা জওয়ান নিহত, আহত ৩

পরের সংবাদ

পরমাণু সমঝোতায় আমেরিকাকে ফিরিয়ে আনতে ফ্রান্সের শর্তারোপ: তেহরানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

ঢাকা স্কাইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২১ , ১০:১০ অপরাহ্ণ

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এক টুইট বার্তায় পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ফ্রান্সের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। ফ্রান্সের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান যদি পরমাণু সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি পুনরায় বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও সমঝোতায় ফিরে আসবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইট বার্তায় আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার গত চার বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে এবং অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে আসছে। এ আচরণের মাধ্যমে ওয়াশিংটন একদিকে যেমন পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে অন্যদিকে পরমাণুর সমঝোতার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবও পদদলিত করেছে। এদিকে ইউরোপও এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় পাশ্চাত্যকেই পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ আরো বলেছেন কোন কারণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরমাণু সমঝোতাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই তাদেরকেই পরমাণু সমঝোতা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে এবং তারা এগিয়ে এলে ইরানও ইতিবাচক সাড়া দেবে।

গতকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের একজন কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরান সরকারকে অবশ্যই পরমাণু সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি মেনে চলতে হবে, তাদের পরমাণু কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখতে হবে যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই সমঝোতায় ফিরে আসতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্রান্সের এই কর্মকর্তা পরমাণু সমঝোতার ভবিষ্যৎ এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তার ভাষায় ইরানীরা যদি আলোচনায় আন্তরিক হয়ে থাকে এবং তারা যদি চায় সবার পক্ষ থেকে নতুন করে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে তাহলে তাদেরকে অবশ্যই উস্কানি মূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। জারিফ তার টুইটার বার্তায় এসব কথার উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক বিবৃতিতে পরমাণু সমঝোতা মেনে চলতে ইরানের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। অথচ পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইউরোপ একটি পদক্ষেপ নেয়নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০০৮ সালের ৮ মে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপ বহুবার ইরানের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা ইরানের স্বার্থে একটি পদক্ষেপও নেয়নি। ইউরোপ এতদিন ধরে মুখে ইরানকে সমর্থন করেছে এসেছে কিন্তু ইরানের পক্ষে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এসব কারণে ইরানের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। সূত্র : পার্সটুডে