মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন বাহিনী- সেন্টকমের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ফ্রাঙ্ক ম্যাকেনজি দাবি করেছেন, জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ইরান ও আমেরিকার সম্পর্কে ‘নতুন সুযোগ’ সৃষ্টি হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ইরানের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি আরো দাবি করেন, “আমরা একটি যুদ্ধ প্রতিহত করতে চেয়েছিলাম।”
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। জেনারেল ম্যাকেনজি আরো দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ের আগের ও পরের মাসগুলোতে ইরানের পক্ষ থেকে ‘কঠোর হুমকি সৃষ্টিকারী তৎপরতা’ লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি আরো বলেন, কোনো কোনো সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলের শেষ দিনগুলোতে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার কোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেনি। উল্টো ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে নিজের অনুসারী বাহিনীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তেহরান।
নয়া মার্কিন প্রশাসন তার নীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে সেন্টকমের কমান্ডার আরো দাবি করেন, “আমার মনে হয় ইরানের কোনো কোনো মহল নয়া মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ওয়াশিংটনের নীতিতে পরিবর্তন আসে কিনা তা দেখতে চায়।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মার্কিন সন্ত্রাসী সেনারা ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরানের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করলে সে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়।
তবে নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনি প্রচারণায় ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তেহরান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আগে আমেরিকার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না। সূত্র : পার্সটুডে