ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে বার্ষিক যে অর্থ বিশ্ব সংস্থায় জমা দিতে হয় তা বাকি পড়েছে আমেরিকার বাধার কারণে। ইরানি সদস্য পদের জন্য বকেয়া অর্থ পরিশোধের বাধা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইরানের ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে শুধুমাত্র বকেয়া অর্থের জন্য। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে আজ (শুক্রবার) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাওয়াদ জারিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘে আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এক কোটি ৬০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে। সরকার এ জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা অর্থ ছাড় হলে সেখান থেকে জাতিসংঘের ফি পরিশোধ করা হবে কিন্তু আমেরিকার বাধার কারণে জাতিসংঘের একাউন্টে এই অর্থ জমা দেয়া যাচ্ছে না।”
গত রোববার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছিলেন, ইরান নিয়মিতভাবে জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য ফি পরিশোধ করে আসছে কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে এই ফি পরিশোধ করা ইরানের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ইরান ভিন্ন কিছু মাধ্যমে জাতিসংঘের ফি পরিশোধ করে আসছিল কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শেষদিকে এসে সে সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ইরান তার সদস্যপদের ফি পরিশোধ করার জন্য জাতিসংঘের কাছে নিরাপদ মাধ্যম দাবি করেছে। সূত্র : পার্সটুডে