পাহাড়ি রাস্তায় শুয়ে আছেন মা-মেয়ে এক পাতাঝরা বিকেলে । আশা রানাউতের মুখে হাসি। আবেশে চোখ বুজে আছেন। চোখে চশমা। তাঁর কাঁধে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে আত্মসমর্পণ মেয়ে কঙ্গনার। পরনে ঘিয়ে রঙের শাল। আশার পরনে গেরুয়া রঙের সালোয়ার কামিজ। পরস্পরকে জড়িয়ে আছেন তাঁরা। মায়ের জন্মদিনে মধুর সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন ‘কুইন’। শৈশব কী ভাবে মিলেমিশে আছে মায়ের গন্ধে, তাতেই ডুবে গেলেন কঙ্গনা।
জানালেন, ছোটবেলায় মাকে খুব ভয় পেতেন। সেই মা-ই এখন তাঁর জীবন জুড়ে বন্ধুর মতো বিরাজ করছেন। মায়ের সান্নিধ্যে শান্তি আসে তাঁর। কঙ্গনা জানান, যা কিছু হয়েছেন, তার শক্তিও মা আশাই। মায়ের জন্মদিনে মধুর এক ছবি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ‘কুইন’-এর।
মাকে উদ্দেশ্য করে কঙ্গনা লিখেছেন, “তোমাকে খুব ভয় পেতাম। গোটা বড় হওয়া জুড়ে সেই ভয় ছিল। কিন্তু যেই আমি প্রাপ্তবয়স্ক হলাম, তুমি আমার বন্ধু হয়ে গেলে। এখন তুমি পৃথ্বীর (দিদির ছেলে) সঙ্গে যখন খেলো, হাসো, দুষ্টুমি করো—মনে হয় এ ভাবেই দেখতে চাই তোমায়। শুভ জন্মদিন মা।” মাকে ভালবাসা জানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা হিমাচলপ্রদেশের মেয়ে। ভাই অক্ষত আর দিদি রঙ্গোলীর সঙ্গে শৈশব ভাগ করেছেন কঙ্গনা। এখনও পরিবারের সঙ্গে নানা মুহূর্ত ভাগ করে নেন ‘ইমারজেন্সি’ পরিচালক। তবে ছোটবেলাটুকু ছবিতেই ধরা। সম্প্রতি মায়ের শাড়ি পরে ছবি পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা। তাঁর বয়স তখন ১০ বা ১১ বছর হবে। ওড়না জড়িয়ে, লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে সেই ছোট্ট কঙ্গনার সে বার ইচ্ছা হয়েছিল ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী হওয়ার। কিন্তু তার বদলে হয়েছেন ব্যস্ত অভিনেত্রী। পাশাপাশি পরিচালনায় সঁপেছেন নিজেকে। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস অবলম্বনে তৈরি করছেন ‘ইমারজেন্সি’। সে ছবির কাজ চলছে। হাতে রয়েছে একগুচ্ছ অভিনয়ের চুক্তিও। ‘তেজস’ ছবিতে বায়ুসেনার ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।