সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হয়। সেই চুক্তির আওতায় গতকাল সোমবার পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। তেহরান থেকে কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রও একইভাবে পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দিয়েছে। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত হিসেবে ইরানের জব্দ করা বিপুল অর্থও ফেরত দিয়েছে ওয়াশিংটন।
অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ থাকা ৬০০ কোটি ডলার আল আহলি ও দুখান ব্যাংকের ইরানি অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। কাতারের ওই দুই ব্যাংকে ইরানের ছয়টি অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ জমা হয় বলেও জানান তিনি।
রেজা ফারজিন আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় উরি ও আইবিকে ব্যাংকের পাশাপাশি মেল্লাত ব্যাংকের সিউল শাখায় আটকে থাকা সব ইরানি অর্থ সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয় গত ১০ আগস্ট। ওই অর্থকে ইউরোতে রূপান্তরিত করতে সেখানে পাঠানো হয়েছিল।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, কাতারের পক্ষ থেকে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, সে দেশে ইরানি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হয়েছে। এর পর ইরানের অ্যাকাউন্টে ইউরো জমা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া ইরানের অর্থ আটকে রাখায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা আদায়ের লক্ষ্যে কাজ চলছে জানিয়ে মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন বলেন, আরও কয়েকটি দেশে আটকে থাকা ইরানি অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কাজ চলছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলে তা ঘোষণা করা হবে।
এদিকে মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে সিয়ামাক নামাজি নামে একজন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, আপনারা যদি আমার হয়ে কথা না বলতেন, তাহলে আমি আজ মুক্ত হতাম না। এর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেহরান থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই পাঁচজনকে বহনকারী বিমানটি কাতারের দোহায় অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, অবশেষে আজ দেশে ফিরে আসছেন ইরানে বন্দি পাঁচ নিরপরাধ আমেরিকান।