প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের দিন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রেখে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। জেলা প্রশাসন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই সঙ্গে পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকাতে পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া থাকে। অনেকটা যৌথ ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটা আমাদের নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটা একটা সামগ্রিক সমন্বিত প্রয়াস। তাই সবাইকে কিন্তু এ কর্মযজ্ঞে গুরুত্বসহকারে অংশগ্রহণ করতে হয়।
রোববার বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে তুলে আনা কাজটি সহজ নয়। যদিও একদিকে কাজটি সহজ, ভোটাররা যাবেন ভোট দেবেন, ভোট শেষ হলে ভোট গণনা হবে, ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু টোটাল আয়োজনটা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ যেকোনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সবাই কাজ করছেন কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু, অবাধ-নিরপেক্ষ ভোটের জন্য এ জিনিসগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সেগুলো নিশ্চিতের জন্য মতবিনিময় করেছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম, বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।