জমি-জমার বিরোধের জেরে ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি ঘর দখলে করে দুই মহিলাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ধূলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত বাউফল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত রানী বেগমের (৫৫) স্বামী বাবুল হাওলাদার।
জানাগেছে, বাদী বাবুল হাওলাদারের সাথে একই এলাকার করিম হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বাউফল সহকারী জজ আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা নম্বর- ১৯৮/২০১৪।
ঘটনার দিন ২৯ মার্চ বুধবার অনুমান সকাল ৯ ঘটিকার সময় বিরোধীয় পক্ষ করিম হাওলাদারের পক্ষ হয়ে কথিত শালিসদার জামশেদ হাওলাদার (৪৫), বাবুল হাওলাদার (৫৫) ও হুমায়ুন কবির (৪৫) গং বাদী বাবুল হাওলাদারের অনুপস্থিতে ঘরে তালা লাগানোর সময় বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম বাধা দেয় এবং তালা খুলি দিতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাছ করে। এ সময় রানী বেগম প্রতিবাদ করলে উক্ত বিবাদীরা এলোপাথারী পিটায়ে ফুলা জখম করলে সে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে। এ সময় জামশেদ হাওলাদার লাঠি দিয়ে মাথায় বারি দেয়। এতে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে কান্না করলে রানী বেগমের ছোটবোন মোসাঃ ছালেহা বেগম এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকেও এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে ফুলা জখম করে, এক পর্যায় ছালেহা বেগম মাটিতে পড়ে গেলে কথিত শালিসদার মোঃ হুমায়ুন কবির তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মাথায় বারি দিলে তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। ডাক চিৎকারে স্বজনরা দৌড়ে এসে রানী বেগম ও ছালেহা বেগমকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত চিকিৎসক রানী বেগমের মাথায় ৭ টি সেলাই ও ছালেহা বেগমের মাথায় ১১ টি সেলাই দিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে রানী বেগমের ছেলে রাজমিস্ত্রী রুবেল হাওলাদার জানান। রানী বেগম ও ছালেহা বেগম বাউফল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে স্বজনরা জানায়। এ ঘটনায় ভিকটিম রানী বেগমের স্বামী বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে জামশেদ হাওলাদার(৪৫), মোঃ বাবুল হাওলাদার (৫৫), মোঃ হুমায়ুন কবির(৪৫), মোঃ করিম হাওলাদার(৩৮)কে আসামী করে বাউফল থানায় রাতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগে বাউফল থানার এসআই মোঃ নজরুল ইসলাম বৃহষ্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে ধূলিয়া ইউনিয়নের ঘটনাস্থলে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি (এস আই নজরুল)। এস আই নজরুল ইসলাম দুপুরে বাউফল হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম রানী বেগম ও ছালেহা বেগমের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন বলে রানী বেগমের ছেলে রুবেল জানান।