তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। গতকাল রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলটির আগের এ অবস্থান তুলে ধরেন নেতারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতমূলক নির্বাচনে অংশ নিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বৈধতা পাবে বলে জানিয়েছে দলটি।
অন্যদিকে, বৈঠকে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে ইইউ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সংস্থাটি। বিএনপিকে এ বার্তা দিয়ে ইইউ বলেছে, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা। এ কারণে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগামী জুন-জুলাই মাসে নির্বাচন-পূর্ব পর্যবেক্ষক দল ঢাকা আসবে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্য সদস্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। গুলশানে ইইউ ডেলিগেশন প্রধানের বাসভবনে সকাল ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজ অবস্থান তুলে ধরে ঢাকার ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউর কাছে অগ্রাধিকারে রয়েছে বাংলাদেশ। আমরা নির্বাচনের আগে ১২ পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়ে থাকি, যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়। আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হলে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা থাকতে হবে। এ বিষয়টি আমরা বৈঠকে জানিয়েছি।
বিএনপির উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে সবার বিস্তারিত জানা রয়েছে। তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। আমরা তা শুনেছি, যা আমরা সব দলের সঙ্গে বৈঠক করে কথা শুনে থাকি।