প্রশাসনে মার্চের প্রথমদিকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি হতে পারে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে এসএসবির (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) তিন দফা মিটিং শেষ হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠক হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার। সুপারিশ চূড়ান্ত করতে অন্তত আরও একটি বৈঠক হবে। বৈঠকটি হতে পারে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। এ যাত্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে পারেন। এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
সূত্রমতে, পদোন্নতির জন্য নিয়মিত ব্যাচ হিসাবে ১৭তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাচটি অপেক্ষাকৃত অন্যান্য ব্যাচের তুলনায় সংখ্যার দিক থেকে অনেকটা ছোট। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি বিবেচনার জন্য প্রায় একশ কর্মকর্তার সার্ভিস রেকর্ড পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ১৭তম ব্যাচের ৪৯ জন। অবশিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডার, আদার্স ক্যাডার এবং অতীতে পদোন্নতিবঞ্চিত লেফটআউট কর্মকর্তা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ জনের মতো পদোন্নতি পেতে পারেন। তবে যারা অতীতে দুবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, তাদের পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসহ যেসব কর্মকর্তা যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর দায়িত্ব পালন করছেন, তারা অতিরিক্ত সচিব হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর আগে ১৭তম ব্যাচকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর। ফলে এ ব্যাচের যারা ওই সময় যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পান, তারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে। এছাড়া এসএসবি বৈঠকের কার্যপত্র প্রস্তুত করার আগ পর্যন্ত যুগ্মসচিবদের মধ্যে যাদের তিন বছর পার হয়েছে এবং পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী যোগ্যতার ঘাটতি নেই, তাদের ফের বাদ দেওয়া হলে তা হবে চরম অন্যায়।
অতীতে পদোন্নতিবঞ্চিতদের মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী যারা পদোন্নতির যোগ্য, তাদের পদোন্নতি আটকে রাখা কোনো বিচারে সমীচীন হতে পারে না। বিশেষ করে শতভাগ পেশাদার কর্মকর্তা এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ নেই, এমনকি অনিয়ম-দুর্নীতি ও অদক্ষতার অভিযোগও নেই, তারা পদোন্নতির জন্য সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।