সানজিদাসহ ৫ জনকে হল ছাড়ার নির্দেশ

আগের সংবাদ

অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি শিগগির

পরের সংবাদ

রমজানে বাজারে কারসাজির আশঙ্কা

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর সরকার, সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চাল, ডাল, মাছ, মাংসসহ অনেক পণ্যের দাম চড়া। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে সরকার দাবি করছে, রোজার সময় বেশি প্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের তেমন কোনো সংকট হবে না। কিছু পণ্য ইতোমধ্যে আমদানি হয়ে বাজারে ঢুকছে। বাকি পণ্য আসার পথে। এছাড়া গতবারের তুলনায় এবার আমদানির পরিমাণও বেশি।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন ভিন্নকথা। তারা মনে করেন, প্রতিবারই সরকারের তরফ থেকে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। কিন্ত রোজা শুরু হলে দেখা যায় ভিন্নচিত্র।
এমন পরিস্থিতিতে তাদের আশঙ্কা, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে তেল, চিনি ও ছোলাসহ কিছু পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও প্রভাবশালীরা সব সময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত মিলেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামানের মন্তব্যে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। কিন্ত এর ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে পণ্যের ঘাটতি নেই। শুধু ঘাটতি ব্যবস্থাপনার।’
এদিকে বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র) তপন কান্তি ঘোষ জানান, রোজায় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে মুক্তবাজার অর্থনীতিরও একটা নিয়ম-কানুন আছে। ফলে যারা সে নিয়ম-কানুন মানতে চাইবেন না তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ইতোমধ্যে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অপরদিকে ভোগ্যপণ্যের কয়েকজন বড় রিফাইনারিকে ডেকে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোজার বাজারে পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খুচরা ও পাইকারি বাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা, মিল মালিক, আমদানিকারক, পাইকারি ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে এক ধরনের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে চিনি আমদানি হয় সাত লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৪ মেট্রিক টন। ২০২১ সালের একই সময়ে আমদানি হয় নয় লাখ ৪১ হাজার ৫১৯ টন।
এ সময়ে চিনি আমদানি কমেছে সাত লাখ ৭ হাজার টন। এদিকে রোজার আগেই চিনির বাজার উত্তপ্ত আছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে গত রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়েছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জানান, পণ্যের সংকট সৃষ্টির জন্য প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সরকারকে ব্যবস্তা নিতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে আসন্ন রোজায় ভোজ্যতেল প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন, চিনি ৩ লাখ মেট্রিক টন, ছোলা ১ লাখ টন, খেজুর প্রায় ৫০ হাজার টন, মসুর ডাল প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন এবং পেঁয়াজ ৪ লাখ টনের চাহিদা রয়েছে।
টিসিবির উদ্যোগ : টিসিবি আসন্ন রোজার আগে এবং রোজার মধ্যে নিম্নআয়ের এক কোটি মানুষের মধ্যে তিন দফায় কম মূল্যে পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে।