পটুয়াখালী পৌরসভায় ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর
পটুয়াখালী পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকা আনুতোষিক চেক হস্তাস্তর করা হয়।
সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে চেক হস্তান্তর করেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা স্কাইনিউজকে বলেন, কেউ ২০০১ সালে অবসর নিয়েছেন, কেউ ২০০৯ সালে অবসর নিয়েছেন আবার কেউ কেউ ২০২০ সালে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তাদের পাওনা পরিশোধ করা যায়নি। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেনা পরিশোধ করতে না পারায় নিজেকে অপরাধী হিসেবে মনে হয়েছে। দীর্ঘ দিনের দেনা পরিশোধ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
তিনি আরও বলেন-আশা করছি, আরও যারা বাকি আছে তাদেরকে আগামী রোজার ঈদ এবং কোরবানীর ঈদের মধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করে দিব।
কাউন্সিলর এড. কাজল বরণ দাসের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন মেয়র মহিউদ্দিন।
আরো বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়, কাউন্সিলর এস এম মতিন মাহমুদ জাহিদ সিকদার, কাউন্সিলর এসএম ফারুক মৃধা, অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে মোতালেব মিয়া, গাজী আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
চেক গ্রহণকারীদের মধ্যে অব. কঞ্জারভেন্সি পরিচালক মৃত এইচ এম নজরুল ইসলামের স্ত্রী হামিদা বেগম ১৫ লাখ টাকা, ট্রাক চালক মৃত মনির হোসেনের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৭ টাকা, পাম্প চালক মৃত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী আসমা বেগম ২ লক্ষ টাকা, এমএলএস মৃত শেখর কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী ১০ লক্ষ টাকা, কর আদায়কারী মৃত সজল কুমার দাসের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী ৮ লক্ষ টাকা, কঞ্জারভেন্সি মৃত জালাল তালুকদারের স্ত্রী রানী বেগম ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৭৯ টাকা, মজিদ প্যাদা ১০ লক্ষ টাকা, মৃত আলতাফ হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ১০ লক্ষ টাকা, লতিফ আকন ৫ লক্ষ টাকা, সৈয়দ আ. মোতালেব ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭২৯ টাকা, মমতাজ বেগম ৫ লক্ষ টাকা, মঞ্জুর আহমেদ ৮ লক্ষ টাকা, আখতারুজ্জামান ৬ লক্ষ টাকা, ওয়াহেদ গাজীকে ৫ লক্ষ টাকা, মদন কুমার ঘোষাল ৮ লক্ষ টাকা, সামসুল আলম ১০ লক্ষ টাকা ও আঃ মজিদ ৬ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।