সেন্টমার্টিন দেশের ছোট প্রবাল দ্বীপ। ৮ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘ্যেও দ্বীপটি নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যাওয়ার ফলে আরেক নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। সমুদ্রপ্রেমী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় এই সেন্টমার্টিনের সমুদ্র পাড়ে প্লøাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে মাছের একটি জনসচেতনতামূলক ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে।
জনৈক পর্যটক এটি দেখে মন্তব্য করেন, ‘এই ম্যুরাল যেন আমাদের অপকর্ম দিয়ে চমৎকার শিল্পকর্ম’। অনেক পর্যটকই এটি আগ্রহ ভরে দেখছেন এবং কাছে গিয়ে ছবি তুলছেন। প্লাস্টিকের ভয়াবহতা এবং পরিণতি উল্লেখ করে সচেতনতামূলক কিছু তথ্যও লেখা রয়েছে ম্যুরালটির পাশে।
জানা যায়, কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ নামের ছায়াছবির মাধ্যমে দ্বীপটির পরিচিতি বেড়ে অনেকগুণে। কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্যসহ নানা আবর্জনার কারণে দ্বীপের পরিবেশ দীর্ঘদিন থেকে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ কারণে সচেতনতা বাড়াতে পর্যটক, স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দাদের যত্রতত্র ফেলা প্লাস্টিক বর্জ্য তথা নষ্ট জাল, বোতল ও চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট দিয়ে মাছের ম্যুরাল তৈরি করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রাহমান জানান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদ দ্বীপের সৈকতে পড়ে থাকা বর্জ্য নিয়ে কাজটি করেছে গত বছর। সপ্তাহখানেক আগে এটি পুনরায় সংস্কার করা হয়, যা নজর কেড়েছে পর্যটকদের।
সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসা আলমগীর অপু নামের একজন সাংবাদিক বলেন, সেন্টমার্টিন আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। এই দ্বীপকে রক্ষা করতে হোটেল, রিসোর্ট, কটেজসহ সকল প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু স্যানিটেশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এছাড়া আগত পর্যটকদেরর এই দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে।