প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা দিয়েছিলেন। আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলাম তখন অনেক বাধা সৃষ্টি হয়। দেশের বাইরের রাষ্ট্রপ্রধানরাও এই বিচারের অনেক বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, এমনকি কেউ কেউ আমার কাছে টেলিফোন করেন। তাদের আমি একটি কথা বলেছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা অপরাধ করেছিল তাদের বিচার তো এখনো হচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের ওপর যারা নির্যাতন চালিয়েছে, হত্যা করেছে- তাদের বিচার হবে না কেন। এ ধরনের চাপ আমাদের ওপর হয়েছিলো তারপরও আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচারকদের বাসস্থানের জন্য আমরা ফ্লাট করে দিচ্ছি। এটা শুধু ঢাকা শহরে না প্রতিটি জেলায় জেলায় আমরা নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেব। সেইসঙ্গে বিচারকদের গাড়ি ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য গাড়ি ঋণ নগদায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা আমরা করে দেব। ইতোমধ্যে জায়গা দেখা হয়েছে সেটা কার্যকর কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমরা একটা আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করব। সব মানুষ যেনো ন্যায় বিচার পায়, মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয় এবং একটা স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার সৃষ্টি হয় সেই পরিবেশটা আমরা চাই।
বিভার বিভাগে প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার করে সুযোগ পাচ্ছি তেমনি এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যকর্মের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। এজন্য আমরা আইন করছি, এর বিরুদ্ধে অনেকে অনেক কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা আমাদের একান্ত প্রয়োজন এ কারণেই এখন কিন্তু আগের মত মল্লযুদ্ধ হয় না এখন বোতাম টিপে হয়, এমনকি এখন অনলাইনে ট্রেনিং দেয়া হয় কিভাবে বোমা বানাবে, কিভাবে মানুষ খুন করবে। কাজেই সব ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী আইনগুলোকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।