ক্রিকেটার সানজিদার গায়ে হলুদে ভাইরাল ছবির গল্প

আগের সংবাদ

ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো বিশাল যুদ্ধ জাহাজ 'শহীদ রুদাকি'

পরের সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

র উ আহমাদ

ঢাকা স্কাইনিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২০ , ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের দিকে ধাবমান নিম্নচাপ, মোংলা বন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঝড়োহাওয়াসহ সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি চলছে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বুধবার রাতেই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং দুপুরের পর গভীর নিম্নচাপের রূপ পায়।

বিকাল ৩টায় গভীর নিম্নাচপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তখন নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর আজ বিকেলে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নিম্নচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন চার শতাধিক পর্যটক

বৈরি আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

আটকেপড়া ৪ শতাধিক পর্যটকের মধ্যে কক্সবাজার থেকে ৩০০ জনের ‘আমার বাজার’ নামে একটি দল তিন দিনের জন্য দ্বীপে ভ্রমণে যায় গত বুধবার। পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন পৌঁছান এসব পর্যটকরা। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া একটি লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়।

বুধবার পর্যটকদের মাইকিং করে দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। অনেকে তা আমলে নেন নি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সকল নৌযানসহ জেলেদের সাগরে মাছ শিকারে না যেতে নিষেধ করা হয়। ফলে পর্যটকরা ফিরতে পারেননি। পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন বলে প্রশাসনের সুত্রে জানানো হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে