আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভূয়া সনদ যেমন উদ্বেগ বাড়িয়েছে অন্যদিকে বিদেশে দেশের ইমেজ নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। তাই এ ধরনের অপকর্ম নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভবিষ্যতে আর কোন প্রতিষ্ঠান যেন এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তিনি তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষা ক্রমশঃ কমছে, আবার পরীক্ষিত নমুনা বিবেচনায় আক্রান্তের শতকরা হার বেশি যা অংকের হিসেবে প্রায় চার ভাগের একভাগ এমন অভিমত ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি ল্যাবগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণে স্বাস্থ্যবিভাগের কার্যকর ও দ্রুত উদ্যোগ প্রত্যাশা করে বলেন, মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যবিভাগের মাঝে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনার চিকিৎসা, সংক্রমণ রোধ এবং অন্যান্য রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে সু-সমন্বয় প্রতিষ্ঠা জরুরি।
নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের ফলে অনেক অসহায়, কর্মহীন, দরিদ্র মানুষ করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও পরীক্ষা করাতে আসেনা বলে অভিযোগ প্রসংগে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অসহায় মানুষগুলোর সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিভিন্ন জেলায় কোরবানির পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, ক্রেতা-বিক্রেতার অবাধ বিচরণ এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলায় পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পশুরহাটের ইজারা গ্রহিতা, স্থনীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ সকলের প্রতি পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর কঠোরতা প্রদর্শনের অনুরোধ রইলো।