করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি নির্দেশনা পেলে ধীরে ধীরে আবারও রেলপথে যাত্রী পরিবহন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের নির্দেশনা পেলেই যেকোন সময় ট্রেন চলাচলের সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মেনে কিভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে স্টেশনগুলোতে চলছে প্রস্তুতি।
ট্রেন চালু হলে যাতে করে স্টেশনে আসা যাত্রীরা টিকিট কাটার জন্য তিন ফিট দূরত্ব অবস্থান করতে পারেন। সেই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গোল গোল করে বৃত্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, অধিক সময় ধরে রেল বন্ধ থাকায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারের নির্দেশনা পাওয়া গেলে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে যদি ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয় তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নির্দেশনা মেনেই পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে আমরা প্রস্তুত। সবগুলো ট্রেন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকার যখনই সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তখনই ট্রেন চালাতে পারবো। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তিনি আরো বলেন, গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেবে সরকার।
মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে আমরা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনা করছি। তাছাড়া কৃষকের পণ্য পরিবহনে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। তার জন্যই তো স্টেশনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সবসময়ই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।