৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে আড়াই হাজার করে নগদ সহায়তা দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একে সছঠক ও সাহসী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
সোমবার (১১ মে) ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার কার্ডের তালিকা প্রণয়নের বিষয় পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সদস্য তৌহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু ও আনোয়ারুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কর্মহীন মানুষকে এ সহায়তা দেওয়ায় তাদের যেমন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে, তেমনি অর্থনীতিতেও চাহিদা সৃষ্টি করে তাকে সচল করতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, পাশের দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এ ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তবে এ অর্থ দেওয়ার জন্য যে সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যে কার্ড প্রণয়নে তালিকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাতে সিটি করপোরেশন অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলোর সঠিকভাবে কার্ড প্রণয়ন ছিল এক দুঃসাধ্য কাজ। এক্ষেত্রে অতীত আমলের মতোই আমলাতান্ত্রিক হুকুমনামা প্রধানমন্ত্রীর সব প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দিতে পারতো। সিটি করপোরেশন নির্ধারিত এক থেকে দেড় দিনের মধ্যে বিশাল প্রশ্নমালা পূরণ করে কম্পিউটারে আপলোড করা ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। এছাড়া কোনো কাউন্সিলরের কার্যালয়ে সেই জনবল ও সুবিধা নেই। তারপরও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলররা যে কাজটি করেছেন তার জন্য তিনি তাদের অভিনন্দন জানান।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যেসব সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাশেদ খান মেনন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্যাকেজের মতো সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী, বেসরকারি স্কুল কলেজের জন্য ঈদের আগেই তহবিল ঘোষণা করারও আহ্বান জানান তিনি।