সাংবাদিকদের সঙ্গে কর্মশালায় বক্তারা
গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে গৃহীত নীতি যথাযথভাবে কার্যকর ও উপযোগী হয়ে ওঠে। আবার গভেষণালব্ধ জ্ঞান আমাদের নতুন নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা দেয়। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার ফলাফল নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি জনগণের কাছে পৌছালে একইসাথে সচতেনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতি গ্রহণের জন্য জনমত তৈরি হয় যা নীতি নির্ধারকদের মধ্যে নীতি গ্রহণের তাগিদ তৈরি করে। তাই জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার ফলাফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-২ এ আর্ক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক একথা বলেন। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক ফাউন্ডেশন “স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রচারে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গণমাধ্যমই কোন তথ্য একইসাথে জনগণ ও নীতি নির্ধারকদের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছে দেয়। গবেষণার ফলাফল সহজ সাবলীল ভাষায় জনগণের কাছে তুলে ধরতে গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিকাদান কর্মসূচি, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা ও করোনা বিষয়ক বার্তা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে যেভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে সেভাবে অসংক্রমক রোগও কমানো সম্ভব। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি-নির্ধারণীতে সরকার গণমাধ্যমের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। ফলে এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।
তারা আরও বলেন, দেশে দ্রুত নগরায়নের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহুরে নিম্নবিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকলেও শহরাঞ্চলে প্রান্তিক মানুষের জন্য সুসংগঠিত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। সুতরাং শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে জোর দেয়া উচিত।
এসময় আলোচনায় স্বাস্থ্য গবেষণা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা, বর্তমান অবস্থা, প্রতিবন্ধকতা, সীমাবদ্ধতা ও সেগুলোর প্রতিকার নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত মত বিনিময় হয়।
আলোচনায় সাংবাদিকরা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা দিক ও গবেষণা সম্পর্কে তারা জানতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য গবেষক ও গণমাধ্যম মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার ফলাফল নিয়মিতভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিক ও গবেষকদের মধ্যে একটি ফলপ্রসু পারস্পরিক যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। কর্মশালায় তারা এই যোগাযোগের নানা কার্যকর উপায় তুলে ধরেন।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আর্ক ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ও কমিউনিকেশন অফিসার ফারিহা ইসলাম মুনিয়া। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি