তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্য কোথাও জীবন্ত মানুষ পোড়ানো হয়নি।’
তিনি বলেছেন, ‘যেখানে জাতিগত সংঘাত হয়েছে সেখানে হতে পারে, কিন্তু রাজনীতির নামে অন্তত গত দু-তিন দশকে বিশ্বের কোথাও এমন ঘৃণ্য নজীর নেই, যা ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ঘটিয়েছে।’
শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি অনেক আন্দোলনের চেষ্টা করেছে, ঢাকায় মহাসমাবেশও করেছে, আন্দোলনের বেলুনও ফুলেছে, কিন্তু সেই বেলুন এখন ফিউজ হয়ে গেছে। বিদেশিদের কাছে অনেক ধর্না দিয়ে বাংলাদেশের ওপর একটি চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই চাপ তৈরির অপচেষ্টাও এখন ডিফিউজড হয়ে গেছে। পত্র-পত্রিকা পড়লে আপনারা অনুধাবন করতে পারেন যে, বিদেশি চাপ ডিফিউজড, আন্দোলনের বেলুন ফিউজড। অর্থাৎ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী যেভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এ জন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী অবশ্যই আইন অনুযায়ী চলবে এবং বিধি অনুযায়ী চলতে গেলেই দেখা যাবে, কেউ রাজনীতির নামে মানুষ পোড়াতে পারে না।’
বঙ্গবন্ধু এবং সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিতুমীর, ক্ষুদিরাম বসু, সূর্যসেন-প্রীতিলতা, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র দসু, তারা বাঙালির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন, নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মুখ্য আলোচক হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন তথ্যমন্ত্রী।