ভূমি মন্ত্রণালয় হতে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ -পূর্ব বাদুরা এলাকায় মুদীর হাট হতে জুলু মুন্সির বাড়ির বাঁধ পর্যন্ত ২৬.১১ একর জলাশয়ে ৫৪ মন রুই, কাতলা, মৃগা, মিনার কার্প, সিলভার কার্প, পাংগাস, তেলাপিয়া পোনা মাছ অবমুক্ত করেছে পূর্ব বাদুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা।
গত শুক্রবার বেলা ১১ টায় চলতি বছরে উক্ত মন্ত্রনালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬ বছেরর জন্য লীজ প্রাপ্ত মুদীর হাট হতে জুলু মুন্সির বাঁধ পর্যন্ত বদ্ধ জলাশয়ের পোনা মাছ অবমুক্ত করেন সমিতির সভাপতি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খায়েরুল আহসান খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আদর্শ মৎস্য চাষী নজরুল ইসলাম গাজীসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মোঃ নজরুল গাজী, ২০০৪ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে প্রথমে আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উক্ত জলাশয়ের ২.৬২ একর জলাশয় লীজ নিয়ে যুব উন্নয়ন থেকে ১৫ হাজার টাকা মৎস্য বিভাগ থেকে ১০ হাজার টাকা মোট ২৫ হাজার টাকা এবং ১২০ শতাংশ জমি চার লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে মাছ চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে জুলু মুন্সির বাড়ি হতে মুদীর হাট পর্যন্ত ২৬.১১ একর বদ্ধ জলাশয় লীজ নিয়ে এলাকার কয়েকজন উদ্যোক্তা সদস্যদের নিয়ে সমিতি করে অল্প পুজি নিয়ে সদূর যশোরের চাঁচড়ার সাইফুজ্জামান মজু এর শুভ্র মৎস্য চাষ প্রকল্পের হ্যাচারী ও একই এলাকার ইদ্রিস আলীর হামজা মৎস্য খামার হ্যাচারী থেকে রুই, কাতলাসহ বিভিন্না জাতের মাছের রেণু এনে পোনা উৎপাদন করে মাছ চাষ শুরু করেন। সেই থেকে সিডর, আইলাসহ বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক ঝড়- জলোচ্ছ্বাস ও প্লাবনে এবং কিছু লোভী দুস্ট ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষের বাধা, প্রতিবন্ধকতা চ্যালেঞ্জ করে লাভ-লোকসানের মধ্যে থেকেও মাছ চাষ করে আসছেন নজরুল গাজী।
সে জানায়, যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে এলাকার প্রায় ৪০- ৫০ জন বেকার যুবককে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষন দিয়েছি, তারাও এখন মাছ চাষ করে সংসার চালাচ্ছে। আমাদের সমিতির মাছ চাষ দেখে এলাকার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে বহু লোক ও যুবক মাছ চাষ শুরু করেছে। তারা আমার কাছে আসে, আমি তাদেরকে মাছ চাষের ধারনা দিয়ে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। তাদের মাছ চাষ দেখে নিজেকে গর্বো মনে করেন মাছ চাষী নজরুল গাজী।
সমিতির সভাপতি খায়েরুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মৎস্য চাষী নজরুল গাজীসহ একাধিকজন জানান, এলাকার কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক মাছ চাষে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।