দেশে বেকার সংখ্যা ২০ লাখ ৫৯ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর এক জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি, সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসইউ) হিসেবে সরকারি পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত জরিপগুলোর মধ্যে শ্রমশক্তি জরিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ। এই জরিপটি ১৯৮০ সালে বিবিএস কর্তৃক প্রথম পরিচালিত হয় এবং সেই থেকে ৪-৫ বছরের ব্যবধানে ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১৫-১৬ সাল হতে এটি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে এ জরিপটি অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসরণ করে সিএপিআই (কম্পিউটার এসিস্টেট ইন্টারভিউং) পদ্ধতিতে এ জরিপ কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়।
শ্রমশক্তি জরিপ-এ ১৫ ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশব্যাপী ১২৮৪ টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে সর্বমোট ৩০ হাজার ৮১৬টি খানায় (বছরে ১২৩,২৬৪টি খানায়) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ৬৪টি জেলায় ১০৭ জন (মহিলা ৬৬ জন এবং পুরুষ ৪১ জন) প্রশিক্ষিত তথ্য সংগ্রহকারীগণ কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে। এ জরিপের প্রাপ্ত উপাত্ত হতে শ্রমশক্তি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সূচকসমূহের অগ্রগতি, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রগতি নির্ণয়ক সূচক এবং সর্বোপরি জাতীয় শ্রমশক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার ও কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। শ্রমশক্তি জরিপ এর মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, শ্রম অভিবাসন ব্যয়, খাত এবং পেশাভেদে শ্রমশক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, কর্মঘণ্টা এবং মজুরি সংক্রান্ত পরিসংখ প্রস্তুত করা হয়। এ জরিপের মাধ্যমে শ্রমবাজারের মৌসুমভিত্তিক তারতম্য সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পাওয়া যায়।