নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিশিষ্টজনের প্রত্যাশা
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশবাসীকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এমন এক সময় দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলগুলোর একাংশ জনসমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বিএনপি ও তার মিত্ররা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে।
চলতি বছরেই এ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে বিশিষ্টজন বলেছেন, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্তায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অনেকটা রুটিন মাফিক। এরপরও তাঁর দায়িত্ব অনেক। সাধারণ জনগণ কিন্ত সংবিধান বোঝেন না, তাঁরা জানেন রাষ্ট্রপতিকে, তাঁর পদকে। এ জন্য আগামী নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু হয়, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা থাকা উচিত। নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপসহ নানা ইস্যুতেই রাষ্ট্রপতির ভূমিকা রাখার প্রয়োজন হতে পারে। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে যাতে জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটে, এটাই প্রত্যাশা করেন তাঁরা।
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের স্থলাষিভিক্ত হচ্ছেন অর্থাৎ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন, যাতে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। দেশের মানুষ চায় রাজনৈতিক স্তিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। এ জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ব্যবস্তাপনা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হলে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হলে দেশ এগিয়ে যাবে।