জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব
পটুয়াখালীর সদর থানা থেকে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার সংযোগ সড়ক হয়ে স্বনির্ভর রোড করিম মৃধা কলেজ পর্যন্ত পথে দুটি গাড়ি পাশাপাশি অনায়াসেই চলার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু কাঠব্যবসায়ী তাদের কাঠ রাস্তার দুপাশে এমনভাবে রেখে দিয়েছিল যে, যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। এতে জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসলে নিজ উদ্যোগে রাস্তা থেকে কাঠ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের সদর থানা থেকে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার সংযোগ সড়কের ওপর উভয় পাশে পাঁচ ফুট করে ১০ ফুট সড়ক দখল করে কাঠ সাজিয়ে রাখে। আর এতেই জনসাধারণ চলাফেরায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়। পাশাপাশি দুটি গাড়ি পার হওয়া তো দূরের কথা, একটি গাড়ি যাওয়াও দুষ্কর হতো। তার উপরে কাঠ নিতে আসা ভ্যানগাড়িগুলো যত্রতত্র পার্কিং করে রাখায় জনগণের চলাফেরায় ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়।
বিষয়টি পুলিশ সুপারের আমলে আনামাত্র তিনি শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে যান। তিনি সুবিধাভোগী দোকানীদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মিত রাস্তার এক ইঞ্চি জায়গা যার দোকানের সামনে দখলে দেখা যাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ আপনাদের হাতেগোনা কয়েকজন সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী পটুয়াখালীর লাখো মানুষের চলাফেরা কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
২৪ ঘণ্টা পার না হতেই রাস্তার চিত্র পাল্টে যায়। ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ উদ্যোগে যার যার কাঠ সরিয়ে নিয়ে রাস্তাকে নির্বিঘ্ন করে দেয়।