পদ্মা সেতুতে বন্ধই থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল : হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

আনন্দের কথায় লায়লা-রাব্বির জুটি

পরের সংবাদ

আধো বাংলায় যা বললেন ডোনাল্ড লু

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ৬:০০ অপরাহ্ণ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যা কমানোয় এলিট ফোর্স র‌্যাবের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার পর র‌্যাব সংস্কারে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা নেমে এসেছে আশাতীতভাবে। এই অসামান্য উন্নতির বিষয়টি গত সপ্তাহের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা আমরাও স্বীকৃতি দেই। এতে প্রমাণ হয়েছে, র‌্যাব সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব মানবাধিকার রক্ষা করেই করতে পারবে। এটা অসাধারণ কাজ।’
এক প্রশ্নের জবাবে জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে এমন মন্তব্য করে মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, ‘এটা মার্কিন কংগ্রেস বিবেচনা করবে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। এ তালিকার অনুমোদন পেলে প্রথম দেশ হবে বাংলাদেশ।’
আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও ডোনাল্ড লু তিনজনেই বলেন, দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে।
নিজের বক্তব্যের শুরুতে ডোনাল্ড লু দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী করতে এসেছেন জানিয়ে বাংলায় বলেন, ‘মনোমুগ্ধকর নদী বা সৈকত এবং অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুদেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে ‘খুব আন্তরিক ও খোলামেলা’ আলোচনা করেছেন জানিয়ে লু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে, কোনো সমস্যা দেখলে আমরা বলব ও কোথাও পরামর্শ দেওয়ার থাকলে আমরা দেব; কথা বলার স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আমরা দাঁড়াব। আমরা বাংলাদেশে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চাই।’
দুপক্ষের মধ্যে ‘খুব গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমরা খুশি যে, আমরা মোটামুটি ঐকমত্যে আছি। ভবিষ্যতে আরও ভালো দিনের প্রতীক্ষায় আছি। আমাদের যে সম্পৃক্ততা এটা খুব কাজের, এর ফলে আমাদের মধ্যে যদি কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন থাকে, সেগুলো আমরা আলোচনার মধ্যে সমাধান করব।’
কোনো ধরনের পরামর্শ পেলে তা আমলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সাজেশন পেলে অবশ্যই আমরা গ্রহণ করি, আমরা তার নমুনাও দেখিয়েছি, আমাদের কোথাও যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, নিশ্চিতভাবে আমরা সেগুলো আমলে নেব এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। কারণ, আমরা চাই দেশের মঙ্গল, মানুষের মঙ্গল এবং আমরা চাই আমাদের দেশবাসীর অবস্থান আরও উন্নত হোক। সুতরাং কেউ যদি আমাকে ভালো সাজেশন দেয়, অবশ্যই আমরা সেটা গ্রহণ করব।’