পটুয়াখালীতে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা
সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতে নতুন বছরের প্রথম দিনে শুরু হয়েছে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম। ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিচ্ছে নতুন বই। এক সময় অনেকেই একসঙ্গে নতুন বই পেত না। কেউ নতুন বই পেত, আবার কেউ পুরানো বই নিয়ে ক্লাশে বসতো। সবাই নতুন বই না পাওয়ায় বৈষম্য দেখা দিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে সারাদেশের মতো পটুয়াখালীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে বছরের প্রথম দিনেই।
পটুয়াখালী সরকারি গার্লস হাইস্কুলে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ আব্দুল্লাহ্ সাদীদ। শুরুতেই তিনি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং উপস্থিত সবাইকে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মাইনুল হাসান শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সঙ্গে বই বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য দূর করেছেন।
মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমাদের জন্য এভাবে সেবা করতে পারবেন। তাই তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের যা যা করণীয় আমরা তাই করবো।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক ভালোবাসেন। বছরের শুরুতে প্রত্যেকে নতুন বই দেওয়ায় প্রত্যেকেই তার জন্য দোয়া করবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম একটু বেড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন, জিনিসপত্রের দাম যাতে সবার নাগালে আসে সে ব্যবস্থা করতে। সারাদেশের বই বিতরণ অনুষ্ঠান শিক্ষা বিভাগে সবচেয়ে সুন্দর পদক্ষেপ। ২০৪১ সাল নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ইকনোমি, স্মার্ট সোশ্যাল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথমে জননেত্রী শেখ হাসিনা বই দেওয়ার উদ্যোগ নেন ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত। সুদৃঢ় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য এখন ফাইভ থেকে নাইন পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রাইমারি বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করেছিল। তার সুযোগ্য উত্তরসুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজিস্ট্রারি স্কুলগুলোকে সরকারি করণের নতুন উদ্যোগে নিয়ে জাতিকে ধন্য করেছেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, পটুয়াখালী জেলায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নতুন বই পেয়েছে। যারা বাকি আছে তারা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাকি নতুন বই পেয়ে যাবে। তিনি একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী সরকারি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মৃণাল কান্তি বড়াল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র শিক্ষক আশরাফ হোসেন খান, শিক্ষক শ্যামল কৃষ্ণ সরকার, বিপ্লব মজুমদার, বেলাল হোসাইন, হাবিবুর রহমান, মতিউর রহমান, হুমায়ুন কবির, খালিদ হোসাইন ও শিক্ষিকা রিমি আক্তার প্রমুখ।