পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর ২০২২ রোববার বরগুনার আমতলীতে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম হাসানসহ দুই পক্ষের অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা জানান, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মতিউর রহমানের নির্দেশে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায় চাওড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাদল খানের লোকজন। এ সময় মঞ্চে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা এবং বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরসহ জেলার বেশিরভাগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পুলিশ সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
চাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাদল খান বলেন, এগুলো গুজব, বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছে বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানকে কয়েকবার মুঠোফোনের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের শান্ত হতে বলেন। তিনি এ বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন।