করোনা ভাইরাস আক্রান্তের নিরিখে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে গত কালই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল ব্রাজিল। এই অবস্থায় দক্ষিণ আমেরিকাকে করোনার নতুন ‘হটস্পট’ হিসেবে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ দিকে, জানুয়ারিতে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে আজ প্রথম চিনে নতুন করে আর কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শুক্রবার ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারো শুরুতেই করোনা নিয়ে সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। ব্রাজিলে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজারের বেশি মানুষের। আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৩৩ হাজারের কাছাকাছি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর সাও পাওলোর আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, কবরস্থানগুলিতে সার দিয়ে জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে মৃতদেহ মাটি চাপা দেওয়ার জন্য। করোনায় মৃত্যুর বিচারে ব্রাজিল রয়েছে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে। হু-এর জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর মাইক রায়ান বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ নিয়েই আশঙ্কা রয়েছে। এই মুহূর্তে বেশি চিন্তা ব্রাজিলকে নিয়েই।’’
যদিও ব্রাজিলের হাল দেখে বিচলিত নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে বিভিন্ন প্রদেশকে লকডাউন শিথিল করার জন্য চাপ বাড়িয়ে চলেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহ থেকে ওয়াইন তৈরির কারখানাগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দিচ্ছে ক্যালিফর্নিয়া। ৪ জুন থেকে খোলার কথা লাস ভেগাসের ক্যাসিনোগুলি।
ইকুয়েডরে করোনায় মৃতদের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কবর দেওয়ার সুবিধার জন্য এক অভিনব খাট-কফিন বানিয়ে ফেলেছেন কলম্বিয়ার এক ব্যবসায়ী। হাসপাতালের শয্যায় করোনা-রোগীর মৃত্যু হলে সেই শয্যাই বদলে যাবে কফিনে, এমনই তার প্রযুক্তি। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘আমি দেখেছি ইকুয়েডরে কী ভাবে পরিবারের মৃত সদস্যদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় ফেলে রাখছেন আত্মীয়েরা। সেই সঙ্কট মেটাবে আমাদের এই খাট-কফিন।’’ তিনি জানান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কলম্বিয়ার শহর লেটিশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালকে এই খাট দান করা হবে।
এ দিকে, করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে ইদের প্রার্থনা বন্ধ রাখা হয়েছে সৌদি আরবের বিভিন্ন মসজিদগুলিতে। গোটা ইদের ছুটিতেই কার্ফু জারি করা হয়েছে দেশে।