ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে বলেছেন, সম্প্রতি তেহরান সম্পর্কে সৌদি আরব যে সুর করেছে তাকে স্বাগত জানায় তেহরান। তিনি বলেন, ইরান ও সৌদি আরব দুটিই আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং তারা তাদের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতে খাতিবযাদে আরো বলেন, গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংলাপভিত্তিক মনোভাবের মধ্যদিয়ে আঞ্চলিক এবং মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশদুটি তাদের মতভেদ দূর করতে পারে এবং সম্পর্ক ও সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে। এই সম্পর্ক ও সহযোগিতার মধ্যদিয়ে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন আনা সম্ভব। এ সময় তিনি ইরানের পক্ষ থেকে হরমুজ পিস ইনিশিয়েটিভের কথা উল্লেখ করেন।
খাতিবযাদে আশা করেন, পবিত্র রমজান মাসে আঞ্চলিক সমস্ত মুসলিম দেশের মধ্যে সহমর্মিতা ফিরে আসবে এবং যুদ্ধ-বিগ্রহ, উদ্বাস্তু হওয়া এবং নিরাপত্তাহীনতা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো মুক্তি পাবে।
সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন , ইরান হচ্ছে সৌদির প্রতিবেশী দেশ এবং তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। তিনি বলেন, “দিন শেষে ইরান হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা সবাই ইরানের সঙ্গে ভালো ও মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক চায়।”
ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের খানিকটা দুর্বল কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও ২০১৬ সালে রিয়াদ সরকার তা ছিন্ন করে। সে সময় সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায়ে শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর আল নিমরের ফাঁসি দেয় রিয়াদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ লোকজন তেহরানে সৌদি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর থেকে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে চরম শত্রুতাভাবাপন্ন মনোভাব পোষণ করে আসছে। তবে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সাম্প্রতিক নরম সুর থেকে ধারণা করা হচ্ছে সৌদির সে অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। সূত্র : পার্সটুডে