মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংকটের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি)। সংস্থার সদস্যরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিরাপত্তা পরিষদের এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জারি করা জরুরি অবস্থা এবং স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ অন্য নেতাদের নির্বিচারে আটকে রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএনএসসির সদস্য দেশগুলো। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক ‘সব বন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরণে অব্যাহত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে, সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন। এছাড়া, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক এবং মিডিয়াকর্মীদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএনএসসি।
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের একদিন পরই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে বৈঠক থেকে একীভূত বার্তা প্রদানে সক্ষম হয়নি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ব্রিটেন। কারণ বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য আরও সময় চেয়েছে চীন ও রাশিয়া।
এর আগে জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া, অন্যায়ভাবে আটক হওয়া সবাইকে মুক্তি প্রদান এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। সূত্র : পার্সটুডে