আমেরিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইন্স ইনস্টিটিউট ফর রেস্পন্সিবল স্টেটক্রাফট বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে মানবিক সংকট এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠানটি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের এ আরব দেশটির প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন বন্ধ করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ওয়াশিংটনের ক্ষমতার করিডর ব্যবহার করে দুইহাতে পয়সা উড়িয়েছে এবং নিজেকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু গত চার বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি ভিন্ন চেহারা উন্মোচিত হয়েছে যা অত্যন্ত বিরক্তিকর বাস্তবতা।
রেসপন্সিবল স্টেটক্র্যাফটে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দেয়া ক্ষমতা ব্যবহার করে এই সমস্ত কাজ করেছেন। আমেরিকার এই পররাষ্ট্র নীতি মধ্যপ্রাচ্যে তার কৌশলগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এই প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, আমেরিকার নতুন প্রশাসনকে শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুখ্যাত সব ভুল পদক্ষেপ সংশোধন রলেই চলবে না বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আমেরিকার যে কূটনৈতিক সমর্থন রয়েছে তার রাশ টেনে ধরতে হবে। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সমস্ত অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক সংকট এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে চলেছে।
লিবিয়ায় যে গোলযোগপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিবাচক ভূমিকার কথাও ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইয়েমেনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকা আরো মারাত্মক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে