কোনোরকম দূষণ থাকবে না। চলবে না গাড়ি। অথচ অত্যাধুনিক সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। নতুন প্রজন্মের শহর তৈরি করছে সৌদি আরব।
আস্ত একটি শহর, যেখানে কোনো কার্বন নিঃসরণ নেই। নেই দূষণ। একুশ শতকে দাঁড়িয়ে এমনটা ভাবাই যায় না। তবে রোববার সৌদি আরব যে নতুন শহরের নকশা দেখিয়েছে, তাতে এই অসম্ভবই সম্ভব করার কথা বলা হয়েছে।
প্রকল্পের নাম নিয়োম জোন। লোহিত সাগরের ধারে জিরো এমিশন বা সম্পূর্ণ দূষণহীন এই শহর তৈরির কাজ শুরু হবে এ বছরের প্রথম অর্ধে। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় ১০ বছর। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রোববার নতুন এই শহরের নকশা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শহরের নাম হবে দ্য লাইন। ২০১৭ সালেই এই শহর তৈরির পরিকল্পনা করেছিল সৌদি।
২৬ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের উপর তৈরি হবে এই শহর। ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা শহরটি তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই শহরে কোনো গাড়ি চলবে না। কার্বন নিঃসরণ হয়, এমন কোনো জিনিস রাখা হবে না। কিন্তু তাই বলে শহরটি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকবে না। বরং অত্যাধুনিক হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নিউ জেনারেশন শহরের মডেল হয়ে থাকবে সৌদি আরবের এই প্রকল্প।
যুবরাজ জানিয়েছেন, শহরে যানবাহন না থাকলেও পথচারীদের জন্য অত্যাধুনিক পাথওয়ে বা হাঁটার জায়গা থাকবে। অতি দ্রুত যে পাথওয়ের সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। মূলত বিজনেস বা বাণিজ্য হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে এই শহর। থাকবে থাকার ব্যবস্থাও। সমস্ত কিছু চলবে পরিশ্রুত জ্বালানির সাহায্যে। পরিবেশের কোনোরকম ক্ষতি করবে না সেই জ্বালানি।
এই প্রকল্পের জন্য সৌদি আরবের ৫০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। জর্ডন এবং মিশরের সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকবে এই শহরের। গোটা প্রকল্পটি শেষ হলে প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষ কাজের সুযোগ পাবেন এখানে। সৌদি অর্থনীতিরও বিপুল উন্নতি হবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে