জমকালো আয়োজনে জীবনসঙ্গীকে ঘরে এনেছিল প্রবীণ কুমার। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই বিয়েতে খরচ হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। নববধূকে সোনা গয়না, অলংকার, প্রসাধনী দিতে কমতি রাখেনি এই যুবক।
পরিবারের সবাই বিয়েতে আনন্দও করে জম্পেশ। তবে সব আনন্দ ম্লান কর দেয় আনন্দের মধ্যমণি অর্থাৎ নববধূ। পালিয়েছে বাসর রাতেই। খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে অচেতন করে সোনা গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ‘ঘরের লক্ষ্মী’। শুক্রবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাদায়ুন জেলার চোটা পারা গ্রামের ঘটনা এটি।
ওই কনের নাম রিয়া। রিয়ার বাড়ি আজমগড়ে। বৌভাতের পরদিন সকালে ওই পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙলে তারা দেখেন সোনা গয়না, নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রীসহ নববধূ নিখোঁজ। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছে সর্বস্বান্ত পরিবার।
অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৯ ডিসেম্বর বিয়ে হয় প্রবীণ-রিয়ার। বিয়ের রাতেই ৭০ হাজার টাকা আর ৩ লাখ টাকার গয়না নিয়ে পালান রিয়া। পুলিশ জানায়, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নববধূকে খোঁজা হচ্ছে।
নতুন বউয়ের অমন কাণ্ডে হতাশ প্রবীণ। বউ যে এভাবে সব হাতিয়ে, পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে পালাবে, তা কখনো ভাবনায়ই আসেনি তার।
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ করছে বিয়ের ঘটক রিংকুকে। রিংকু ওই রাতে বরের বাড়িতেই ছিলেন। সকালে তারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ ধারণা করছে, রিংকু ওই নববধূর সঙ্গে মিলে এ কাজ করেছে। সূত্র : এনডিটিভি