রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার জন্য তুরস্কের ওপর আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তুর্কি সরকার। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে আংকারা ‘বিরাট ভুল’ বলেও অভিহিত করেছে।
মার্কিন সরকার সোমবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের চেয়ারম্যান ইসমাইল দামির এবং এই শিল্পের আরো তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা তুরস্কের খাতগুলোর জন্য আমেরিকা থেকে কোনোকিছু আমদানি করা যাবে না এবং আমেরিকায় থাকা এসব খাতের সম্পদ জব্দ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মাইক পম্পেও বলেন, বহুবার আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তুরস্ককে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনা হলে তাতে আমেরিকার সামরিক প্রযুক্তি ও সেনাদের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়বে। পাশাপাশি এস-৪০০ কিনে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতকে তহবিল যোগান দেয়া হলো।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ফোর্ড সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় বলেন, ওয়াশিংটন সমস্যার সমাধান চেয়েছিল কিন্তু তুরস্ক তার সবই প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি দাবি করেন, ওয়াশিংটন ‘হঠাৎ করে কিংবা হাল্কা’ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি।
এসব বক্তব্যের জবাবে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্তের কোনো ব্যাখ্যা নেই। আংকারা বহুবার সমস্যা সমাধানের জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে কিন্তু সে প্রস্তাবকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয় নি। তুর্কি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এ বিরাট ভুল থেকে আমরা ওয়াশিংটনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার আহ্বান জানাই।”
বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, “মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিতভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা আমাদের দেশের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখব।” সূত্র : পার্সটুডে